গঠনতন্ত্র
গঠনতন্ত্র
চট্টগ্রাম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ কর্মচারী ইউনিয়ন
রেজি: নং- চট্ট- ২৩৪।
“গঠনতন্ত্র”
ধারাঃ ১ - নাম
ইহা চট্টগ্রাম শুল্ক ভবনের অধীনে লাইসেন্স প্রাপ্ত ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ নামক প্রতিষ্ঠান সমূহে কর্মরত কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি ট্রেড ইউনিয়ন। ইহার নাম হবে “চট্টগ্রাম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ কর্মচারী ইউনিয়ন”। পরবর্তী ধারা “ইউনিয়ন” নামে অভিহিত হবে।
ধারা ২- ঠিকানা
অত্র ইউনিয়নের রেজিষ্টার্ড অফিস ১নং জেটি গেইট, পোর্ট মার্কেট, চট্টগ্রামে অবস্থিত। প্রয়োজন বোধে ইহা চট্টগ্রাম পৌর এলাকার যে কোন সুবিধাজনক স্থানে স্থানান্তরিত করা যাইবে। ঠিকানা পরিবর্তন করা হইলে পরিবর্তনের ১৫(পনের) দিনের মধ্যে তা রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্রে অন্তর্ভূক্ত করিয়া নিতে হইবে।
ধারাঃ ৩- উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য
(ক) অত্র ইউনিয়ন সম্পূর্ণ ভাবে অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে পরিচালিত হইবে।
(খ) ইউনিয়নের প্রতিটি সদস্যের আর্থিক ও সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং অক্ষুন্ন রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট হওয়া ।
(গ) সদস্যদের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বমূলক সৌহাদ্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখা ।
(ঘ) কর্মচারী ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে সু-সম্পর্ক গড়িয়া তোলা, যদি কখনও তাহাদের মধ্যে কোন বিরোধ দেখা দেয় তাহা হইলে ইহার সুষ্ঠ ও সম্মানজনক নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা ।
(ঙ) সদস্যদের জন্য উপযুক্ত বেতন ভাতাসহ ন্যায় সংগত কার্যক্রমের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে বিধি মোতাবেক চাকুরী এবং জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করা এবং সর্বপ্রকার জুলুম ও অন্যায়ের প্রতিরোধ কল্পে উদ্যোগী হওয়া।
(চ) ইউনিয়নের সদস্যদের বেকারত্ব, রোগ, শারীরিক-অক্ষমতা, বার্ধক্য এবং মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
(ছ) ইউনিয়নের স্বার্থে কাজ করিতে গিয়া যে সকল সাধারণ সদস্য অথবা কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্মকর্তা কোন প্রকার ক্ষতির সম্মুখীন হইবেন অথবা চাকুরী হারাইবেন, তাহাদের অত্র ইউনিয়ন থেকে আর্থিক সাহায্য ও যথোপযুক্ত পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা ।
(জ) বাংলাদেশে প্রচলিত যে কোন ট্রেড ইউনিয়ন অথবা অনুরূপ কোন শ্রমিক সংস্থার ফেডারেশনের অন্তর্ভূক্ত হইয়া বা অনুমোদন লাভ করিয়া সাধারণ সদস্যদের স্বার্থ রক্ষার্থে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার জন্য কাজ করিয়া যাওয়া।
(ঝ) গঠনতন্ত্রের বিধির সহিতে সামঞ্জস্য রাখিয়া ইউনিয়নের তহবিল গঠন করা।
(ঞ) সাধারণ সদস্যদের জন্য গঠিত কল্যান তহবিল যথাযথভাবে বিলি বন্টনের ব্যবস্থা করা ৷
ধারা ঃ ৪- সাধারণ সদস্য পদ
ক) চট্টগ্রাম শুল্ক ভবনের অধীনে লাইসেন্স প্রাপ্ত ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ সমূহে বয়স ৩৫(পঁয়ত্রিশ) বছরের মধ্যে রয়েছে তাহারা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে অত্র কর্মরত এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস্ হাউস কর্তৃক কাস্টম সরকার লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যক্তি যাহাদের ইউনিয়নের সদস্য পদের জন্য আবেদন করিতে পারিবে। খ) সকল সদস্য প্রার্থীকে শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর ৫৫ (ক) ফরমে সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করিতে হইবে। আবেদন পত্রের সহিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয় পত্র ও কাস্টম সরকার লাইসেন্স এর ফটোকপি কার্যনির্বাহী কমিটির যে কোন কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করে। দাখিল করতে হইবে। আবেদনটি কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদিত হইলে কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি ফি ও অন্যান্য দেয় পরিশোধ পূর্বক সদস্য পদ লাভ করিতে পারিবেন। তবে কার্যনির্বাহী পরিষদ উপযুক্ত কারণে যে কোন আবেদন নাকচ করিতে পারিবে। এই ক্ষেত্রে আবদেনকারী সাধারণ পরিষদের নিকট উহা পুনঃবিবেচনার জন্য আপীল
করিতে পারিবেন।
ফরম ৫৫(ক)
[ধারা ১৭৯ (১) (গ) এবং বিধি ১৬৭ (১) দ্রষ্টব্য]
ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হইবার আবেদন ফরম
ইউনিয়নের নাম :
তারিখ :
সাধারণ সম্পাদক,
…………………………….
……………………………..
জনাব, আমি _______________ এর সদস্য পদের জন্য এতদ্বারা আবেদন করিতেছি। আমি সর্তকতার সহিত ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রের বিধান সমূহ পড়িয়াছি/ পড়িয়া শুনানো হইলে বুঝিয়াছি এবং উহা মানিয়া চলিতে প্রস্তুত রহিয়াছি। আমার বিবরণ নীচে প্রদত্ত হইল :-
নাম ____________ পিতা ____________ মাতা _____________ স্বামী/স্ত্রী __________________ জাতীয় পরিচয় পত্র নং (যদি থাকে) ________________ বয়স __________ পেশা/প্রতিষ্ঠানের নাম পদবী/টোকেন নং- ____________________ চাকুরীর ধরনঃ ______________ স্থায়ী/বদলী/ সাময়িক /অস্থায়ী ______________________ বর্তমান চাকুরীতে যোগদানের তারিখ __________________ ঠিকানা ঃ ক) বর্তমান _______________ খ) স্থায়ী __________
আমি ঘোষণা করিতেছি যে, ধারা ১৯৩ অনুযায়ী আমি অন্য কোন শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য নহি ।
স্বাক্ষর ___________
তারিখ __________
ধারা: ৫- সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য
(ক) প্রত্যেক সাধারণ সদস্য প্রতি মাসে ২০(বিশ) টাকা মাসিক চাঁদাসহ কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক ধার্যকৃত অন্যান্য দেয় অবশ্যই পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবেন। অত্র গঠনতন্ত্রের অন্যত্র যাহাই উল্লেখ থাকুক না কেন প্রত্যেক সদস্য চলতি ইংরেজি সনের ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে ইউনিয়নের ধার্য্যকৃত সমুদয় দেয় পাওনাদি পরিশোধ পূর্বক ইউনিয়নের স্ব স্ব পরিচয় পত্র পরবর্তী বছরের জন্য নবায়ন করিয়া নিতে বাধ্য থাকিবেন। কার্যনির্বাহী পরিষদ ইচ্ছা করিলে উপর্যুক্ত কারণে যে কোন সদস্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ ০৬(ছয়) মাসের মাসিক চাঁদা ও অন্য যেকোন দেয় মওকুফ করার ক্ষমতা রাখিবেন ।
(খ) প্রত্যেক সাধারণ সদস্য গঠনতন্ত্রের প্রত্যেকটি ধারা, উপ-ধারা মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবে এবং কার্যনির্বাহী পরিষদ সভা/সাধারণ সভা/বিশেষ সাধারণ-সভায় গৃহীত যে কোন সিদ্ধান্ত অবশ্যই মানিয়া চলিবে। কোন সাধারণ সদস্য এমন কোন কাজ করিবেনা যাহা ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সদস্যের স্বার্থের বিরুদ্ধে বিবেচিত হয়।
(গ) কোন সাধারণ সদস্য যদি কর্মরত সিএন্ডএফ এজেন্ট হইতে চাকুরী হারায় বা চাকুরী ছাড়িয়া দেয় এবং নতুন কোন অফিসে চাকুরী গ্রহণ করে তবে সেক্ষেত্রে উক্ত সদস্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সর্বাধিক এক মাসের মধ্যে বিস্তারিত বিবরণ সহ লিখিতভাবে ইউনিয়নকে জানাইতে বাধ্য থাকিবে ।
(ঘ) কোন সদস্য ইউনিয়নের সমুদয় দেয় পাওনাদি পরিশোধ পূর্বক স্ব স্ব পরিচয় পত্র পর পর ০২(দুই) বার নবায়ন না করিলে তিনি সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন মর্মে প্রমাণ করণের জন্য প্রয়োজনীয় দলিলাদি কার্যনির্বাহী পরিষদ সভায় দাখিল করিবেন এবং কার্যনির্বাহী পরিষদ তাহার সদস্যপদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন।
ধারা : ৬- সদস্যপদ বাতিল
(ক) ৩য় ও ৫ম ধারা বা উপধারা মানিয়া চলিতে ব্যর্থ হইলে সেক্ষেত্রে যে কোন সদস্যের সদস্যপদ বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। কোন সদস্য সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত না থাকিয়া ভিন্নতর কর্মক্ষেত্র/পেশায় নিয়োজিত হইলে যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে তাহার সদস্যপদ বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। তবে সদস্যপদ বাতিলের পূর্বে উক্ত সদস্যকে আত্মপক্ষ সমর্থন এর সুযোগ প্রদান করিতে হইবে। সদস্যপদ বাতিলকৃত ব্যক্তি পূনরায় সিএন্ডএফ চাকুরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত হইলে তিনি অত্র গঠনতন্ত্রের ধারা-৪ এর শর্ত পূরণ সাপেক্ষে নতুন সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদন করিতে
পারিবেন।
(খ) ন্যায় সংগত কারণ ব্যতীত কোন সাধারণ সদস্য যদি বার্ষিক সাধারণ সভা, বিশেষ সাধারণ সভা এবং কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক আহুত কোন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে তাহার সদস্য পদ বাতিলের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ
করিতে পারিবেন কোন সত্য গোপন করিলে, মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করিলে অথবা প্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশে
(গ) ইউনিয়ন, কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সদস্যদের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ করিলে, অনীহা বা বিলম্ব করিলে, সেক্ষেত্রে উক্ত সদস্যের সাধারণ সদস্যপদ বাতিলের লক্ষ্যে কার্যনির্বাহী পরিষদ নিয়মবিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
ধারা : ৭- সদস্যদের সুবিধাদি
প্রত্যেক সদস্য ইউনিয়ন কর্তৃক প্রদত্ত আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধাদি নিয়ম মোতাবেক ভোগ করিতে পারিবে। কোন সদস্য অত্র গঠনতন্ত্রের কোন ধারা বা উপ-ধারা লংঘন পূর্বক কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক দোষী বলিয়া সাব্যস্ত হয় সেক্ষেত্রে উক্ত সদস্য ইউনিয়ন কর্তৃক প্রদত্ত আর্থিক কোন সুবিধা ভোগ করিতে পরিবেনা।
ধারা : ৮- সদস্যদের তালিকা খাতা
বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর ৫৮ (ক) মোতাবেক ইউনিয়ন একটি চাঁদার রেজিষ্টার সংরক্ষণ করিবেন। ইউনিয়নের যে কোন কর্মকর্তা অথবা চাঁদা দানকারী যে কোন সদস্য অফিস চলাকালীন সময়ে উহা পরীক্ষা করিয়া দেখিবার জন্য খুলিতে পারিবেন। তবে এই ক্ষেত্রে কর্মকর্তা বা সদস্যকে কার্যকরী পরিষদের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে ।
ধারা ঃ ৯- গঠনতন্ত্র সংগ্রহ
ইউনিয়নের প্রত্যেক সদস্য দরখাস্ত সহকারে ১০০ (একশত) টাকা জমা দিয়া এক কপি গঠনতন্ত্র সংগ্রহ করিতে পারিবে। গঠনতন্ত্রের ধারা, উপধারা গুলির ব্যাপারে অজ্ঞতা কোন সদস্যের ক্ষেত্রে নির্দোষ মূলক বলে গন্য হইবে না ।
ধারা ঃ ১০- সাধারণ তহবিল
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ ও বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী এবং অত্র গঠনতন্ত্রের ৩য় ধারায়। বর্ণিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন ও ইউনিয়নের উন্নতি বিধান কল্পে সাধারণ তহবিল হইতে টাকা খরচ করা যাইবে। ইউনিয়নের যাবতীয় আয় এই তহবিলের অর্ন্তভুক্ত হইবে। ইউনিয়নের আয়ের উৎস হইবে ভর্তি ফিস, মাসিক চাঁদা, বিশেষ চাঁদা, আপদকালীন চাঁদা এবং অন্যান্য দেয় সাহায্য ইত্যাদি।
ধারা ঃ ১১- অন্যান্য তহবিল
ইউনিয়ন ইচ্ছা করিলে সদস্যদের আর্থিক আয় ও অন্যান্য সুবিধার জন্য আরও তহবিল খুলিতে পারিবে, যেমন- রিজার্ভ ফান্ড, বিল্ডিং ফান্ড, আবাসন ফান্ড, চিকিৎসা ফান্ড, শিক্ষা ফান্ড, কল্যাণ ফান্ড, সাংস্কৃতিক ফান্ড, বিনোদন ফান্ড ইত্যাদি। কিন্তু এই সব তহবিলগুলিতে বাংলাদেশ সরকারের ট্রেড ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রকের নিকট বাৎসরিক হিসাব দাখিলের সময় সাধারণ তহবিল হিসাবে দেখাইতে হইবে।
ধারা ঃ ১২- কল্যাণ তহবিল
(ক) “চট্টগ্রাম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ কর্মচারী কল্যাণ তহবিল” চট্টগ্রাম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যভূক্ত সিএন্ডএফ এজেন্টস্ কর্মচারীদের জন্য গঠিত। এই কল্যাণ তহবিলের অর্থ উত্তোলন ও বিতরণ বিধিমালার নিয়মবিধি মোতাবেক পরিচালিত হইবে। প্রয়োজনবোধে কল্যাণ তহবিল দ্বারা সাধারণ সদস্যগণের কল্যাণের লক্ষ্যে গঠনতন্ত্রের সংশ্লিষ্ট ধারা এবং উপ-ধারা সমূহ অনুসরন পূর্বক বিশেষ সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের আলোকে কার্যনির্বাহী পরিষদ যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবেন। তবে এতদ্ব্যাপারে তহবিলের সম্পূর্ণ নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য রাখিতে হইবে।
(খ) কল্যাণ তহবিলের টাকা বিতরণের ক্ষেত্রে অবসর ও মৃত্যুকালীন সদস্যদের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র এবং বিধিমালা সংযুক্ত করে কমিটির নির্ধারিত ফরমে আবেদন করে অত্র ইউনিয়নে দাখিল করিলে দপ্তর সম্পাদক কর্তৃক যাবতীয় কাগজ পত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়া কার্য নির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থাপন করিবেন। কার্য নিবাহী পরিষদ অনুমোদন দেওয়ার পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষর প্রদান করে বিধিমালা উপ কমিটিতে প্রেরণ করিবেন।
(গ) কল্যাণ তহবিল কমিটি পরিচালনার ক্ষেত্রে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি থাকিবে। যাহার সদস্য পদাধিকারবলে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক এবং অপর সদস্য কার্য নির্বাহী পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ট সদস্যদের সমর্থনে মনোনীত হইবেন ।
(ঘ) উপ-ধারা- ‘গ’-এ মনোনীত কমিটি প্রতি ৬ (ছয়) মাস অন্তর কল্যাণ তহবিলের আয়-ব্যয়ের হিসাব কার্য্যনির্বাহী পরিষদের সভায় পেশ করিবেন।
ধারা ঃ ১৩- তহবিলের নিরাপত্তা
ক) সাধারণ তহবিল, কল্যান তহবিল ও অন্যান্য তহবিলের অর্থ কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে এক বা একাধিক সরকারী বা বেসরকারী তফশিলী ব্যাংকে জমা রাখা যাইবে ।
খ) ব্যাংক হইতে টাকা উত্তোলন করিতে অর্থ সম্পাদকসহ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে যেকোন দুই জনের যুক্ত স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন হইবে। তবে কোন কারণে অর্থ সম্পাদক অনুপস্থিত থাকিলে বা টাকা উঠাইতে অপারগতা প্রকাশ উঠানো যাইবে। সেক্ষেত্রে কার্যনিবাহী পরিষদের সিদ্ধান্তের কপি ব্যাংকে জমা দিতে হইবে। করিলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে টাকা গ) ইউনিয়নের তহবিলের অর্থ উত্তোলন, বিতরণ বা ব্যয়করণের ক্ষেত্রে যে কোন সমস্যার সৃষ্টি হইলে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন দায়ী থাকিবেন।
ঘ) ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করিতে হইলে কার্যনিবাহী পরিষদের পূর্বানুমতির পরিষদের স্বাক্ষরিত কার্য বিবরনীর ফটোকপি ব্যাংকে অবশ্যই দাখিল করিতে হইবে। প্রয়োজন হইবে। তবে ১০,০০০/- টাকার অধিক অর্থ উত্তোলন করিতে হইলে কার্যনির্বাহী।
(ঙ) যে কোন তহবিলের অর্জিত নগদ অর্থ পরবর্তী কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট একাউন্টে জমা দিতে হইবে এবং জমা দানের পূর্ব পর্যন্ত উক্ত টাকা অর্থ সম্পাদকের নিকট রক্ষিত থাকিবে। কোন ক্রমেই নগদ অর্থ ব্যয় করিতে পারিবে না ।
(চ) অর্থ সম্পাদক দৈনন্দিন আবশ্যকীয় খরচাদি নির্বাহের জন্য সর্বাধিক ৫০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা নিজের কাছে রাখিতে পারিবেন ।
ধারা ঃ ১৪- হিসাব রক্ষণ
ক) ইউনিয়নের যাবতীয় আয়-ব্যয় বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর ৫৮ (ঘ) ফরমে সংরক্ষণ করিতে হইবে । সমস্ত আয়-ব্যয়ের হিসাব পরীক্ষা করে উক্ত খাতায় লিপিবদ্ধ করতে হবে। প্রত্যেক আয় এবং ব্যয়ের ভাউচারের ক্রমিক নং এবং তারিখ উল্লেখ রাখিতে হবে। ইউনিয়নের চাঁদা বইয়ের নম্বর এবং রশিদের পাতা নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করিতে হইবে। হিসাব শাখায় একটি কম্পিউটারে হিসাবের সমস্ত বিবরণী অন্তর্ভুক্ত থাকিবে। যদি কোন কর্মকর্তা বা সদস্য হিসাবের বহি পরিদর্শনে ইচ্ছা করেন তাহা হইলে তাহাকে ৭২ ঘন্টার লিখিত নোটিশে অফিস চলাকালীন সময়ে উহা পরিদর্শন করিতে পারিবেন
খ) প্রতি মাসের আয়-ব্যয় পরবর্তী মাসের প্রথম সাপ্তাহিক সভায় অবশ্যই দাখিল করিতে হইবে। ইহার দায়-দায়িত্ব অর্থ সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক সম্পূর্ণরূপে বহন করিবেন।
(গ) ইউনিয়নের যে কোন খরচের ভাউচার খরচ হওয়ার দিন থেকে ৭ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দাপ্তরিক সম্পাদকের মাধ্যমে অর্থ সম্পাদকের নিকট দাখিল করিতে হইবে। অর্থ সম্পাদক | সংশ্লিষ্ট খরচের ভাউচার পরীক্ষা নিরিক্ষা পূর্বক মন্তব্য সহ ৩(তিন) দিনের মধ্যে উহা সাধারণ সম্পাদকের নিকট পেশ করিবেন । সাধারণ সম্পাদক ভাউচারগুলি পরীক্ষা নিরীক্ষা পূর্বক মন্তব্য | সহকারে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় পেশ করিবেন। কার্যনির্বাহী পরিষদ ভাউচার অনুমোদন করিলে অর্থ সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ভাউচারে স্বাক্ষর দান করিবেন।
ধারা ঃ ১৫- হিসাব পরীক্ষা (অডিট)
ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক মনোনীত কোন উপযুক্ত হিসাব পরীক্ষক বৎসরে কমপক্ষে একবার যাবতীয় হিসাব পরীক্ষা করিবেন। প্রতি বৎসর মার্চ মাস শেষ হওয়ার পূর্বেই বিগত বৎসরে অডিট করা হিসাব (বার্ষিক রিটার্ন) সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে পরিচা- লক/রেজিষ্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন্স নিয়ন্ত্রকের সমীপে পেশ করিতে হইবে।
ধারাঃ ১৬- ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদ
ইউনিয়নের যাবতীয় কার্য-পরিচালনার দায়িত্ব কার্যনির্বাহী পরিষদের উপর ন্যস্ত থাকিবে। কার্যনির্বাহী পরিষদের রূপরেখা নিম্নরূপ হইবে :-
(ক) সভাপতি - ০১ জন।
(খ) কার্যকরী সভাপতি - ০১ জন।
(গ) সিনিয়র সহ-সভাপতি - ০১ জন।
(ঘ) সহ-সভাপতি-০১ - ০১ জন।
(ঙ) সহ-সভাপতি-০২ - ০১ জন।
(চ) সহ-সভাপতি-০৩ - ০১ জন ।
(ছ) সাধারণ সম্পাদক - ০১ জন।
(জ) যুগ্ম সম্পাদক - ০১ জন।
(ঝ) সিনিয়র সহ-সম্পাদক - ০১ জন।
ঞ) সহ-সম্পাদক-০১ - ০১ জন।
(ট) সহ-সম্পাদক-০২ - ০১ জন।
(ঠ) সহ-সম্পাদক-০৩ - ০১ জন।
(ড) অর্থ সম্পাদক - ০১ জন।
(ঢ) শ্রম ও সদস্য কল্যাণ সম্পাদক - ০১ জন।
(ণ) যুগ্ম শ্রম ও সদস্য কল্যাণ সম্পাদক - ০১ জন।
(ত) সাংগঠনিক সম্পাদক - ০১ জন।
(থ) যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক - ০১ জন।
(দ) ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক - ০১ জন।
(ধ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক - ০১ জন।
(ন) দপ্তর সম্পাদক - ০১ জন।
(প) সহ দপ্তর সম্পাদক - ০১ জন।
(ফ) কাস্টম বিষয়ক সম্পাদক - ০১ জন।
(ব) যুগ্ম কাস্টম বিষয়ক সম্পাদক - ০১ জন।
(ভ) বন্দর বিষয়ক সম্পাদক - ০১ জন।
(ম) যুগ্ম বন্দর বিষয়ক সম্পাদক - ০১ জন।
(য) অফ-ডক বিষয়ক সম্পাদক ০১ - ০১ জন।
(র) অফ-ডক বিষয়ক সম্পাদক ০২ - ০১ জন।
(ল) ইপিজেড বিষয়ক সম্পাদক - ০১ জন।
(শ) কার্য নির্বাহী পরিষদ সদস্য - ০৭ জন।
_________________________________________________________________
সর্বমোট = ৩৫ জন।
কার্যকরী পরিষদের কর্মকর্তা ও সদস্য সংকুচিত অথবা বর্ধিতকরণ বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ মোতাবেক নির্ধারণ করা হইবে।
ধারা ঃ ১৭- কার্যনির্বাহী পরিষদের ক্ষমতা
০১। ইউনিয়নের উন্নতি এবং ইহার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাধনের জন্য গঠনতন্ত্রের অপরাপর বিষয়, ধারা ও উপ-ধারার সহিত সংগতি রাখিয়া কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবেন।
০২। কোন সাধারণ সদস্য যদি গঠনতন্ত্রের বিধি-বিধান লংঘন করে অথবা কার্যনির্বাহী পরিষদের গৃহীত নির্দেশ/নিষেধ লংঘন করে, তবে সেক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী পরিষদ উক্ত সাধারণ সদস্যদের প্রতি জরিমানা ধার্য্যসহ সতর্ক করা এবং গঠনতন্ত্র মতে তাহার সদস্যপদ বাতিল করার পদক্ষেপ গ্রহণে সক্ষম থাকিবেন। তবে সংশ্লিষ্ট সাধারণ সদস্যকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সূযোগ দেওয়া হইবে।
০৩। ইউনিয়নের উন্নয়নের লক্ষ্যে যে কোন আর্থিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী পরিষদ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবেন। তবে এরূপ পদক্ষেপ গ্রহণের পূর্বে উক্ত কর্মসূচীর পূর্ণাংগ বর্ণনা প্রদান করতঃ উহার আলোকে বিশেষ সাধারাণ সভার সমর্থন গ্রহণ করিতে হইবে।
০৪। প্রতি তিন বৎসর পর পর ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব কার্যনির্বাহী পরিষদের উপর ন্যস্ত থাকিবে I
০৫। ইউনিয়নের সর্বপ্রকার তহবিলের প্রতি কার্যনির্বাহী পরিষদ অবশ্যই নজর রাখিবেন। কার্যনির্বাহী পরিষদ সকল কর্মকর্তার স্ব-স্ব দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করিবেন। কোন ক্রমেই কোন কর্মকর্তার নিজস্ব দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি অথবা দায়িত্ব পালনে বিরত থাকার মত কোন পদক্ষেপ কার্যনির্বাহী পরিষদ গ্রহণ করিতে পারিবেন না ৷
০৬। কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রয়োজনে অবশ্যই এক বা একাধিক উপ-কমিটি গঠন করিতে পারিবেন।
০৭। ইউনিয়নের উন্নতি, ইহার লক্ষ্যে ও উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যে কোন কাজ করিবার ক্ষমতা কার্যনির্বাহী পরিষদের থাকিবে । প্রয়োজনবোধে কার্যনির্বাহী পরিষদ সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে যে কোন সংখ্যক পরামর্শক নিয়োগ করে তাহার/তাহাদের উপর প্রয়োজনীয় ক্ষমতা ন্যস্ত করিতে পারিবেন।
০৮। নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ শপথ গ্রহণের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচনের লক্ষ্যে ইউনিয়নের সভাপতিকে নির্বাচন কমিশন করে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে কার্যনির্বাহী পরিষদ গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ১১ (এগারো) সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করিবেন।
০৯। নির্বাচিত উপদেষ্টা পরিষদকে নির্বাচন কমিশন শপথ গ্রহণ করাবেন। উপদেষ্টা পরিষদ সার্বক্ষণিক কার্যনির্বাহী পরিষদকে সু-পরামর্শ ও সৎ উপদেশ দানে সহযোগীতা করিবেন । প্রয়োজনে কার্যনির্বাহী পরিষদ উপদেষ্টা মন্ডলীর সাথে যৌথ সভা আহবান করিলে উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যগণ উক্ত যৌথ সভায় উপস্থিত থাকিবেন ।
১০। নতুন নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক নতুন উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত করার পর পূর্বের উপদেষ্টা পরিষদ বিলুপ্ত হবে।
ধারা ঃ ১৮- কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য
(ক) সভাপতি :
(০১) সভাপতি ইউনিয়নের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন ।
(০২) সভার কার্যবিবরনীতে স্বাক্ষর দান করিবেন ।
(০৩) কার্যনির্বাহী পরিষদ সভায় কোন প্রস্তাবের উপর ভোট নিবেন এবং সংখ্যাধিক্য সদস্যের রায়ের উপর অনুমোদন দান করিবেন। প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটিতে সমতা দেখা দিলে স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য তিনি নিজের ভোট ছাড়াও ০১ টি কাষ্টিং ভোট দিতে পারিবেন।
(০৪) প্রয়োজন মনে করিলে তিনি যে কোন সময়ে সকল দপ্তরের কর্যাদি পরিদর্শন ও তদারকি করিতে পারিবেন।
(০৫) ইউনিয়নের নিয়মবিধি সদা সর্বত্র অনুসরণ হইতেছে কিনা সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখিবেন ।
(০৬) প্রয়োজনবশতঃ কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের আলোকে কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরী সভা আহবানের জন্য সাধারণ সম্পাদককে লিখিত অনুরোধ জানাইবেন এবং সাধারণ সম্পাদক সভা আহ্বানে ব্যর্থ হইলে তিনি নিজেই উক্ত সভা আহ্বান করিতে পারিবেন।
(০৭) কোন কারণ বশত : কার্যনির্বাহী পরিষদের মধ্যে ইউনিয়নের ক্ষতি হইবে বিরাজ করিতে দেখিলে সাধারণ সম্পাদক সহ আলোচনা করিয়া যথাযথ ব্যবস্থার উদ্যেগ গ্রহণ করিতে পারিবেন ।
(০৮) তিনি ইউনিয়নের যে কোন ক্ষেত্রে সাধারণ সম্পাদক সহ যুগপৎভাবে প্রতিনিধিত্ব করিবেন। ইউনিয়নের তহবিলের প্রতি নজর রাখিবেন ।
(০৯) কার্যনির্বাহী পরিষদের অধিকাংশ/সংখ্যাগরিষ্ট কর্মকর্তার পদত্যাগের ফলে কার্যনির্বাহী পরিষদ অকার্যকর হইলে অথবা ২৫ ধারা মোতাবেক কোন পদক্ষেপ গৃহীত হইলে সভাপতি যথানিয়মে বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান পূর্বক সঠিক ও সুনির্দিষ্ট কারণের আলোকে কার্যনির্বাহী পরিষদ ভাংগিয়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করিতে পারিবেন। উক্ত সভায় এতদ্বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে কার্যনির্বাহী পরিষদ ভাংগিয়া দিয়া ৯০ দিনের মধ্যে অত্র গঠনতন্ত্রের ১৯ ধারা মোতাবেক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচিয়া উপ-পরিষদ গঠন করিবেন। এতদক্ষেত্রে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তিনি অত্র সংগঠন ও গঠনতন্ত্রের অস্তিত্ব, রক্ষার্থে স্বীয় পদে- বহাল থাকিবেন।
(১০) অত্র ধারার ০৯ উপ ধারা মতে কার্যনির্বাহী পরিষদ বিশেষ সাধারণ সভার অনুমোদনক্রমে ভিত্তিতে অন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে সভাপতিসহ ৫(পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট একটি উপ-কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে পারিবেন। উক্ত উপ-কমিটিতে ০১ (এক) জন সদস্য সচিব ও ০১ (এক) জন অর্থ সচিব থাকিবেন এবং ১৩ (খ) ধারামতে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের ব্যবস্থা নিতে পারিবেন। তবে সকল আয়-ব্যয় নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্তবর্তীকালীন পরিষদ মূল দায়িত্ব পালন করিবেন ।
(১১) আইন শৃঙ্খলা পরিচালনার ক্ষেত্রে সভাপতির মতামতই চুড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে।
(১২) সভাপতি তাহার সকল কাজের জন্য সাধারণ সভার নিকট দায়ী থাকিবেন ।
(খ) কার্যকরী সভাপতি :
নিয়মবিধি অনুসারে ইউনিয়নের যাবতীয় কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে সভাপতিকে সহযোগীতা করিবেন এবং সভাপতির অবর্তমানে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করিবেন এবং ১৮ (ক) ধারা মোতাবেক কাজ চালাইবেন। তাহার সকল কাজের জন্য তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদ, সাধারণ সভা ও সাধারণ সদস্যদের নিকট দায়ী থাকিবেন।
(গ) সিনিয়র সহ-সভাপতি :
সিনিয়র সহ-সভাপতির কাজ হইবে নিয়ম বিধি অনুসারে ইউনিয়নের কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি সভাপতিকে সাহায্য করিবেন এবং সভাপতি ও কার্যকরী সভাপতির অবর্তমানে তিনি সভার কাজ পরিচালনা করিবেন। তাহার সকল কাজের জন্য তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদ, সাধারণ সভা ও সাধারণ সদস্যগণের নিকট দায়ী থাকিবেন।
(ঘ) সহ-সভাপতি -০১
সহ-সভাপতি-০১ এর কাজ হইবে নিয়ম বিধি অনুসারে ইউনিয়নের কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি সভাপতিকে সাহায্য করিবেন এবং সভাপতি, কার্যকরী, সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি এর অবর্তমানে তিনি সভার কাজ পরিচালনা করিবেন। তাহার সকল কাজের জন্য তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদ, সাধারণ সভা ও সাধারণ সদস্যগণের নিকট দায়ী থাকিবেন ।
(ঙ) সহ-সভাপতি -০২
সহ-সভাপতি-০২ এর কাজ হইবে নিয়ম বিধি অনুসারে ইউনিয়নের কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি সভাপতিকে সাহায্য করিবেন এবং সভাপতি, কার্যকরী, সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি-০১ এর অবর্তমানে তিনি সভার কাজ পরিচালনা করিবেন। তাহার সকল কাজের জন্য তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদ, সাধারণ সভা ও সাধারণ সদস্যগণের নিকট দায়ী থাকিবেন।
(চ) সহ-সভাপতি -০৩
সহ-সভাপতি-০৩ এর কাজ হইবে নিয়ম বিধি অনুসারে ইউনিয়নের কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি সভাপতিকে সাহায্য করিবেন এবং সভাপতি, কার্যকরী সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি-০১ ও সহ-সভাপতি-০২ এর অবর্তমানে তিনি সভার কাজ পরিচালনা করিবেন। তাহার সকল কাজের জন্য তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদ, সাধারণ সভা ও সাধারণ সদস্যগণের নিকট দায়ী থাকিবেন।
(ছ) সাধারণ সম্পাদক ঃ
০১। সাধারণ সদস্যদের প্রয়োজনে ইউনিয়নের পক্ষ হইতে তিনি সকল প্রকার দাবী দাওয়া উত্থাপন ও সমাধান কল্পে উদ্যোগ গ্রহণ করিবেন
০২। কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিনি সকল দায়িত্ব পালন করিবেন এবং সকল প্রকার দলিল দস্তাবিজে স্বাক্ষর দান করিবেন।
০৩। সকল দপ্তরের উপর অর্পিত দায়িত্ববণ্টন ও তদারকি করিবেন এবং উহা সঠিকভাবে পালনে সাহায্য করিবেন।
০৪। যে কোন সভার আলোচ্যসূচী সভাপতি ও পরিষদের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারণ করিবেন।
০৫। সকল সাধারণ সদস্যের যাবতীয় অসুবিধা দূরীকরণ ও সূযোগ সুবিধা প্রাপ্তির সহায়তা করিবেন।
০৬। সকল সভার কার্যবিবরনী রক্ষণাবেক্ষন ও সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
০৭। সকল আয় ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক হিসাব সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করিবেন। এই ব্যাপারে অর্থ সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদকের সাহায্য গ্রহণ করিবেন।
০৮। প্রয়োজন বশতঃ ১০০০ (এক হাজার) টাকা পর্যন্ত খরচ করিতে পরিবেন বা খরচের অনুমোদন দানে সক্ষম হইবেন। উক্ত খরচের বিল অনুমোদন লাভের জন্য পরবর্তী কার্যনিবাহী পরিষদ সভায় পেশ করিবেন এবং অনুমোদন নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
০৯। ইউনিয়নের সকল কর্মচারীর প্রতি প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করিবেন।
১০। কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তনুযায়ী ইউনিয়নের যে কোন কর্মচারী নিয়োগ ও বরখাস্ত করিতে পারিবেন।
১১ । তিনি সভাপতি সহ যৌথভাবে ইউনিয়নের পক্ষে যে কোন ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্ব করিবেন।
১২। সাধারণ সম্পাদক তাহার নিজস্ব দায়িত্বে সম্পন্নকৃত সকল কাজের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সভার নিকট দায়ী থাকিবেন।
জ) যগ্ম সম্পাদক ঃ
ইউনিয়নের যাবতীয় কাজে তিনি সাধারণ সম্পাদককে সর্বাত্নক সহযোগীতা করিবেন এবং ১৮ (ঙ) ধারা মোতাবেক কাজ চালাইয়া যাইবেন। তাহার সকল কাজের জন্য তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সভার নিকট দায়ী থাকিবেন
(ঝ) সিনিয়র সহ-সম্পাদক ঃ
ইউনিয়নের যাবতীয় কাজে সাধারণ সম্পাদককে সহযোগীতা করিবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি যুগ্ম সম্পাদককে সহযোগীতা দান করিবেন এবং সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন। তাহার সকল কাজের জন্য তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সভার নিকট দায়ী থাকিবেন।
(ঞ) সহ-সম্পাদক -০১ :
ইউনিয়নের যাবতীয় কাজে সাধারণ সম্পাদক কে সহযোগীতা করিবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি যুগ্ম সম্পাদক কে সহযোগীতা দান করিবেন এবং সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক ও সিনিয়র সহ-সম্পাদক-এর অনুপস্থিতিতে তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন। তাহার সকল কাজের জন্য তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সভার নিকট দায়ী থাকিবেন।
(ট) সহ-সম্পাদক -০২ :
ইউনিয়নের যাবতীয় কাজে সাধারণ সম্পাদককে সহযোগীতা করিবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি যুগ্ম সম্পাদককে সহযোগীতা দান করিবেন এবং সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সম্পাদক এবং সহ-সম্পাদক-০১ এর অনুপস্থিতিতে তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন। তাহার সকল কাজের জন্য তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সভার নিকট দায়ী থাকিবেন।
(ঠ) সহ-সম্পাদক -০৩ :
ইউনিয়নের যাবতীয় কাজে সাধারণ সম্পাদককে সহযোগীতা করিবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি যুগ্ম সম্পাদককে সহযোগীতা দান করিবেন এবং সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সম্পাদক এবং সহ-সম্পাদক-০১ ও সহ-সম্পাদক-০২ এর অনুপস্থিতিতে তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন। তাহার সকল কাজের জন্য তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সভার নিকট দায়ী থাকিবেন।
(ড) অর্থ সম্পাদক ঃ
০১। অর্থ উত্তোলন ও জমাদানের ক্ষেত্রে প্রধান দায়িত্ব পালন করিবেন।
০২। ইউনিয়নের যাবতীয় আয় ও ব্যয় খরচাদির হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ গঠনতন্ত্রের ১৪নং ধারা অনুসারে পালন করিতে বাধ্য থাকিবেন।
০৩। তিনি খরচের জন্য নগদ ৫০০০/- (পাঁচহাজার) টাকা তাহার হাতে রাখিতে পারিবেন।
০৪। অর্থ উত্তোলন জনিত বা আর্থিক হিসাবের অনিয়মের জন্য তিনি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে দায়বদ্ধ থাকিবেন এবং কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সভার নিকট দায়ী থাকিবেন।
(ঢ) শ্রম ও সদস্য কল্যাণ সম্পাদক ঃ
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে/বহিবিশ্বে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন শ্রম আন্দোলন, সমাবেশ, সেমিনার প্রভৃতি সম্বন্ধে খোজ খবরাদি রাখিবেন এবং তদবিষয়ে ইউনিয়ন অফিসে রীতিমত রেকর্ড রাখিবেন। সদস্যদের বিভিন্ন সমস্যাদি যেমন- দুর্ঘটনা, মুত্যু, চাকুরীচ্যুতি ও কর্মস্থলে যে কোন প্রকার হয়রানী প্রভৃতি প্রতিকারের ব্যবস্থা করিবেন। সদস্যদের কল্যাণমূলক কর্মকান্ডে তিনি দায়িত্ব পালন করিবেন। এই ব্যাপারে তিনি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সহিত সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করিবেন এবং কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অ